দেশে এখন
0

বন্যা পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন

বন্যার পর এবার ভয়াবহ নদী ভাঙনে দিশেহারা সুনামগঞ্জবাসী। বছরের পর বছর মোটা অঙ্কের ব্যয় করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ভাঙন। এদিকে, তিন দফা বন্যায় প্রায় ২৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও কোনো সরকারি আর্থিক সহায়তা পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।

৩ দফা বন্যার পর সুনামগঞ্জের নতুন আতঙ্ক নদী ভাঙন। অসহায়ত্ব ভেসে উঠছে ভাটি জেলার মানুষের চোখে-মুখে। সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার থেকে শুরু করে মসজিদ, কবরস্থান এর মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যে শতকোটি টাকার প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হলেও কার্যকর ফল মিলছে না। তাই, বসতভিটা হারানোর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

ইতোমধ্যে ভাঙন রোধে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা সুনামগঞ্জের তিন পয়েন্টে স্থায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি, ইতোমধ্যে ঠিকাদারকে অর্ডার দেয়া হয়েছে। আশা করছি কাজগুলো বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত থাকবে।’

এদিকে, তিন দফা বন্যায় সুনামগঞ্জে বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তবে, তিন মাস অতিক্রম হলেও এখনও সরকারি ভাবে ঘর নির্মাণের জন্য কোনোও আর্থিক সহায়তা পাননি ভাটি অঞ্চলের মানুষরা।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিকভাবে সহায়তা দেয়া হবে কি-না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক। সরকারি ভাবে সহায়তা পেলে পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বন্যা ও নদী ভাঙনপীড়িত হাওরের বাসিন্দাদের।

এএম