চট্টগ্রামের কালামিয়া বাজারে নাম ধরে একেক পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ডাকছেন সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা.শাহাদাত। যাদের সাড়া মিলছে না তাদের নামের পাশে দেয়া হচ্ছে চিহ্ন। আবার কেউ প্রক্সি দিলেও তা ধরিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। প্রথম দিনে এভাবেই প্রায় ৪০ শতাংশ পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অনুপস্থিতি পান মেয়র।
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল বিগত সময়ের কমিশনাররা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অতিরিক্ত জনবল দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়েই এ বিষয়ে খতিয়ে দেখার অঙ্গীকার করেন বর্তমান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। যারা কাজে অনুপস্থিত তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আপনারা দেখবেন তারা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। যদি তারা ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে আপনারা আমাদের জানাবেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেবো। এমনকি তাদের চাকরি চলেও যেতে পারে।’
প্রথম দিন নগরীর ১৭ ও ১৮ নাম্বার ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তা অন্যান্য ওয়ার্ডেও চলবে।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘পরিষ্কার পরিছন্ন অভিযান আজ রাত থেকেই চালু হবে। এরইসঙ্গে আমাদের মশক নিধন অভিযান আরো জোরদার করা হবে।’
মশকনিধনে ব্যবহৃত ওষুধের মান পুনরায় পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান মেয়র। এসব ওষুধ কার্যকর না হলে নতুন ওষুধ আনার কথাও জানান তিনি।
এ সময়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মশক নিধনের ওষুধের কার্যকারিতা বা গুণগত মান না যদি আমরা ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে না পাই, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
মশক নিধন কার্যক্রমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রয়েছে ৫ কোটি টাকা।