সকাল নয়টা থেকে বিভিন্ন সড়কে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ট্রাক, ছোট ছোট ট্রলিতে বেলচা দিয়ে বর্জ্য তুলে নিয়ে যান তারা। তবে নগরবাসীও এবার আগের তুলনায় বেশ সচেতন। নিজেরাই পানি ছিটিয়ে, বস্তায় বর্জ্য ভরে নিদিষ্ট জায়গায় ফেলছেন।
সিটি করপোরেশন কর্মকর্তারা জানান, আজ প্রায় সাড়ে তিন হাজার টন ময়লা আবর্জনা তৈরি হবে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কর্মী এ বিপুল বর্জ্য পরিষ্কারে কাজ করবেন। অলিগলি থেকে বর্জ্য আনবে ২৮০টি গাড়ি। অনেককেই পলিথিনে ভরে নিদিষ্ট জায়গায় বর্জ্য ফেলতে দেখা যায়।
চসিক'র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'আমরা ৭টা জোনে ভাগ করেছি। প্রতিটা বাড়ি পলিথিন দিয়েছি। আমাদের সংগঠনের কর্মীরা তৎপর রয়েছে। বর্জ্য অব্যবস্থাপনা দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি, সিটি করপোরেশন তাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। চট্টগ্রামকে দুর্গন্ধমুক্ত নগরী হিসেবে উপহার দিতে পারবো।'
চসিক'র প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজেমী বলেন, 'আমরা তিন বারে বর্জ্য পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। বিকেল ৫টার মধ্যে পুরো নগরীর বর্জ্য পরিষ্কার করতে পারবো বলে আশা করছি। বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণের জন্য আমাদের ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।'
উল্লেখ্য চট্টগ্রামে পশু কোরবানি হচ্ছে প্রায় সাড়ে আট লাখ। এর মধ্যে নগরীতে দেড় লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। যার বেশির ভাগ হয়েছে বাসাবাড়ির সামনে খালি জায়গা ও সড়কের ধারে। এ বিপুল বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৭টি জোনে ভাগ করা হয়েছে।