১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ যে প্রভাব বিস্তার করে, তা বাঙালি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। মানুষ শুধু দলকে ভোট দেয়নি, তারা ভোট দিয়েছিল একটি স্বপ্নকে, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তাকে।" পলিটিকাল হিস্ট্রি অফ বাংলাদেশ বইয়ে রেজাউল করিম এমনটাই লিখেছিলেন শেখ মজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সম্পর্কে।
এবার প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের অগ্রগামী স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সেই আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মধ্যেই কিভাবে হয়ে উঠল অভিযুক্ত স্বৈরাচারী দল?
২০২৪ এর গণ আন্দোলন স্বাক্ষী দেয় কি হয়েছিল আওয়ামীলীগের বিগত ১৫ বছরের শাসনকালে, স্বাধীন দেশের এই পটভূমিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা কিভাবে হয়ে উঠলেন হাজার ছাত্র জনতার হত্যা মামলার আসামী?
জুলাই আগস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলন রুপ নেয় গণআন্দোলনে সেখানে শহীদ হন প্রায় ১৫০০ ছাত্র জনতা। প্রশ্ন হলো, কার নির্দেশে হয়েছিল এই হত্যাকাণ্ড?
সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে বিচারকালীন প্রক্রিয়ায়, অভিযোগের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রস্তুতি নিচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ জুলাই আগস্টের হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিচার কার্য পরিচালনায়, প্রস্তুত হচ্ছে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন, সেই ভবনের কার্যক্রম নিয়ে নিয়মিত খোজ খবর রাখছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে আইন উপদেষ্টা ড আসিফ নজরুল।
সেখানে গিয়ে পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং পলাতকদের ফিরিয়ে আনার জন্য রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
লিখিত ভাবে ইন্টারপোলের কাছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সহায়তা চাইবে সরকার, তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে, তার প্রতি সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
আগামী ১৮ নবেম্বর থেকে সেখানে শুনানির মধ্যদিয়ে বিচারকার্য শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হতে পারে আরও কিছুদিন বিলম্ব।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিল গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, চীফ প্রসিকিউটর বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা মোকাবিলা করা হবে, তবে সরকারের সিদ্ধান্ত এলেই আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
আগামী সপ্তাহে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনে শুরু হবে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার।