দেশে এখন
0

ঢাবিতে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ ও ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক ও অ্যাকাডেমিক এলাকায় সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ক্যাম্পাসে মিছিল করে এ দাবি তোলেন তারা। জানান, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রশাসনকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও অনুষদের আশপাশে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পোস্টার লাগানো কেন্দ্র করে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে ক্যাম্পাসে মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পোস্টার অপসারণের দাবির পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দেন তারা। পরে প্রক্টরিয়াল টিম এবং হল প্রশাসনের উদ্যোগে ছাত্রদলের পোস্টার সরিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর নানা আলোচনা ছিল দেশজুড়ে।

বৃহস্পতিবার রাতে ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। দাবি তোলেন আবাসিক ও অ্যাকাডেমিক এলাকায় সকল ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের।

রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ভিসি চত্বরে শেষ হয় বিক্ষোভ মিছিল। শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ও পেশীশক্তির রাজনীতি চিরতরে বন্ধ চান তারা।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'হলে আসলে ছাত্ররাজনীতির নামে কী হয় সেটা আমরা জানি। আমাদের গেস্টরুম, গণরুম করতে হয়, নেতাদের প্রটোকল দিতে হয়, ক্লাস না করে প্রোগ্রামে যেতে হয়। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এটা কোনো বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।'

অন্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'ছাত্ররাজনীতি আমাদের মৌলিক অধিকার, সেই ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসে থাকবে। কিন্তু অ্যাকাডেমিক ভবন ও হল কোনো রাজনীতি করার জায়গা না।'

আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও আবাসিক অঙ্গনে কোনো ধরনের ছাত্ররাজনীতি থাকবে না।'

ছয় বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ রয়েছে ডাকসু নির্বাচন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে অতিদ্রুত তা আয়োজনেরও দাবি জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, 'ছাত্র সংগঠনগুলোতে থেকে দখলদারিত্বের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস করা হয়। আমরা এই সন্ত্রাস বন্ধের লক্ষ্যে আবারও বলছি ডাকসু চাই, ডাকসু চাই, ডাকসু চাই।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম বলেন, 'মাসেল পাওয়ারের পলিটিক্সকে বাংলাদেশে লাল কার্ড প্রদর্শন করা হয়েছে। সেই রাজনীতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা চলতে দিবে না।'

ছাত্র রাজনীতির একটি কাঠামো দিতে দাবি জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রয়োজনে এ বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করে মতামত যাচাই করা যেতে পারে।

এসএস