ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু বকরকে সিংগাপুর নেয়া প্রয়োজন। তবু যাওয়া হয়ে উঠেনি এখন।
অষ্টম শ্রেণির তামিমের পায়ে গুলি নিয়ে যায় হাসপাতালে, তাদের অবহেলায় পচন ধরে পায়ে। আর আট দিন পার করার পর কেটে ফেলতে হয় ডান পা।
এ জুলাই বিপ্লবে আহতদের অনেকেই এখনও উন্নত চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে ভুগছে। আহতদের সংগঠন ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ এর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়, তালিকা করে দ্রুত সব ধরনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার।
রক্তিম জুলাই ২৪ এর আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন মুহাম্মদ ইমদাদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লকে শহীদ, আহত ও নিহতদের তথ্য রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে অতি শিগগিরই গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মানান ও পদবী দিতে হবে অনতিবিলম্বে।’
এছাড়াও আহতদের এবং শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, ক্ষতিপূরণ বিষয়ে সরকারকে নভেম্বরের মধ্যে সকল কার্যক্রম নিশ্চিত করাসহ সাত দাবি জানানো হয় এ সংবাদ সম্মেলনে।
সাইফুদ্দিন মুহাম্মদ ইমদাদ বলেন, সরকারকে আগামী দশ কর্মদিবসের মধ্যে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য একসাথে প্রয়োজনীয় সব স্বাস্থ্য সেবা অর্থোপেডিক, ফিজিওথেরাপি, চক্ষু, নিউরোলজি, জেনারেল সার্জারি, মেডিসিন বিভাগের সমন্বয় করে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ তিনশো পরিবারকে এক লাখ করে টাকা সহায়তা করেছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
ছাত্র আন্দোলনে আহত ১ হাজার ৪৬৯ জনকে, ৪ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। আগামী দিনেও এই পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস তাদের।
এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সন্তান নাসিব হাসান রিয়ানের স্মরণে সচিবালয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ জনস্মৃতিতে ধরে রাখতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তথ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এইযে এক হাজার-দেড় হাজার শহীদ পরিবার এবং ২০-২৫ হাজার আহত, আমাদের এইযে ১৮ কোটি মানুষ, তারা যদি এ কয়টা মানুষের দায়িত্ব নিতে না পারি, তাদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা যদি দিতে না পারি তাহলে এটা আমাদের পুরো বাংলাদেশের ব্যর্থতা। কিন্তু কোথাও কোথাও মনে হচ্ছে তারা সে নিশ্চয়তা পাচ্ছে না, তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।’
অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানে আহত মাধ্যমিক হতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন ও টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।