সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ আর পত্রিকায় দেয়া দুই ধরনের বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে বাইরে।
পরবর্তীতে এই ক্ষোভ রূপ নেয় রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে করা এই বিক্ষোভে। গেল মঙ্গলবার বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনও করতে দেখা যায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে। কিন্তু এসবের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান জানান দেয় বিএনপি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয় জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিবের সাথে জরুরি বৈঠক করতে আসেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।
প্রায় দুই ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক জানান রাষ্ট্রপতি অপসারণে বিএনপির অবস্থান বদলানোর জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক সেটিকে আমরা কীভাবে ঘোষণা দিব, কীভাবে করা যায় এ বিষয়ে আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। দ্বিতীয়টা হচ্ছে এ চুপ্পুর অপসারণ। কীভাবে আমরা দ্রুত চুপ্পুর অপসারণ করতে পারি এবং এটাতে যে পলিটিক্যাল কনসেনশাস রয়েছে সেটা কীভাবে বিল্ড করা যায় এবং যে কোনো সংকট কীভাবে এড়ানো যায় সে বিষয়ে কথা বলেছি। তৃতীয়টি হচ্ছে নাগরিক ঐক্য ধরে রেখে সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে কথা বলেছি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী জানালেন কোনো সময়সীমা বেধে দেয়া না হলেও রাষ্ট্রপতি অপসারণের বিষয়ে অনড় তারা।
নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘চুপ্পু মাস্ট গো। দেয়ার শুড বি এ সেকেন্ড রিপাবলিক ডেক্লারেশন অ্যান্ড ইট শুড বি ডেক্লেয়ারড। আমরা কোনো টাইম ফ্রেম বেধে দিচ্ছি না। তবে বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য এটা অবশ্যই করতে হবে এবং জনগণের এ দাবি নিয়ে আমরা মাঠে থাকবো।’
এর আগে বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির সাথে বৈঠক করেন ন্যাপ ভাসানীসহ চারটি রাজনৈতিক দল।