১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুর পর ঠিক কীভাবে এ আন্দোলন ১৮০ ডিগ্রি মোড় ঘুরে গিয়েছে সে খবর সবার জানা। তাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের পর এ মাটিতে এসেছিলেন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম।
পরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেন পুলিশের আইজিপিসহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা। সেখানে বক্তব্য রাখেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তার অভিযোগ, কোনো কোনো পুলিশ সদস্য অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণা না করে নানা দলের মোড়কে নিজেদের আবৃত করেছেন। এসময়, কেবল বদলির মাধ্যমে পুলিশকে খুনের সাজা থেকে মওকুফ করার কঠোর সমালোচনাও করেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিভিল প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউই পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। পুলিশের সঙ্গে মানুষের সরাসরি কাজের সম্পর্ক হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিলেন বলেও যোগ করেন তিনি।
এসময়, শুধু ফ্যাসিস্টের দোসর ছাড়া দেশের সকল স্তরের মানুষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শামিল ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ প্রধান। দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে আর্থিক সহায়তারও আশ্বাসও।
আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘ পনেরো বছরে বৈধভাবে অস্ত্র নিয়ে তা অবৈধ ভাবে ব্যবহার হয়েছে মন্তব্য করে, নতুন করে অস্ত্র নীতিমালা তৈরির কথাও জানিয়েছেন পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কৃতিত্বের সাথে সদ্য চুকিয়েছেন স্নাতকের পাঠ। তবে তারও আগে জীবনের পাঠ চুকিয়ে হয়েছেন ইতিহাসের অংশ। পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারের পাশে স্বয়ং পুলিশ প্রধান। শনিবার সকালে সাঈদের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সাঈদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে শুরু হয় আইজিপির রংপুর সফরের আনুষ্ঠানিকতা। নীরবে দাঁড়িয়ে স্মরণ করেন আবু সাঈদকে। তার মাগফেরাত কামনায় করা হয় দোয়া ও মোনাজাত।