স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

কিশোরগঞ্জে টিকাদান কর্মসূচিতে টিকার সংকট

কিশোরগঞ্জে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রামে দেখা দিয়েছে টিকার সংকট। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাসপাতালে। বিশেষত, নবজাতক এবং গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে দেড় মাস বয়স থেকে শিশুদের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক টিকা ও নারীদের টিডি টিকা দেয়া হয়। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সেন্টার ও হাসপাতালে এই টিকার সংকট দেখা দিয়েছে।

টিকার অভাবে নবজাতকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছেন না অভিভাবকরা। পাশাপাশি গর্ভবতী নারী ও কিশোরীরাও পড়ছেন জটিলতায়। অভিভাবকদের একজন বলেন, ‘বাচ্চার বয়স দুই মাস হয়েছে এখন পর্যন্ত টিকা দিতে পারেনি।’

ভুক্তভোগী কিশোরীরাও টিকা সরবরাহ আরও ভালো করার দাবি জানান।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় নবজাতকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি টিকার মধ্যে একমাত্র বিসিজি টিকার সরবরাহ রয়েছে। তবে, ওপিডি, প্যান্টা ব্যালেন্স, পিসিবি, আইপিডি, হাম-রুবেলা টিকার সংকট রয়েছে। এছাড়া নারীদের টিডি টিকার ৫টির মধ্যে কোনোটাই পাওয়া যাচ্ছে না।

টিকাদান কর্মসূচির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধুমাত্র একটা টিকা রয়েছে যেটা বিসিজি টিকা।’

এই টিকা কার্যক্রম জেলার বিভিন্ন এলাকার সেন্টারে হলেও সেখানে সরবরাহ নেই। অভিভাবকরা ভিড় করছেন জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গিয়েও শুনতে হচ্ছে হতাশার খবর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ইপিআই প্রোগ্রামের আওতায় সরবরাহ না থাকায় টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ একরাম উলাহ বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে টিকা পাওয়ার সাপেক্ষে দ্রুত টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।’

এ অবস্থায় হাসপাতালে ওপিডি, প্যান্টা ব্যালেন্স, পিসিবি, আইপিডি ও হাম-রুবেলা টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহের দাবি জানান স্থানীয়রা।

ইএ