স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (১৬ এপ্রিল) সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে বর্তমান চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ ও সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। মৌটুপি গ্রামে এই সংঘর্ষের পর ভবানীপুর থেকে দুটি পক্ষ সাফায়েত উল্লাহ এবং তোফাজ্জলের সমর্থনে অবস্থান নেয়, যা উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ভবানীপুর চক বাজারে সালিশি বৈঠক বসে।
বৈঠকের সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে অন্তত তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। সংঘর্ষের পর মিজান মিয়া টেঁটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে বুদর গোষ্ঠীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন শ্রীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, জয়নুদ্দিন সরকার, বাশার মেম্বার ও আজিজুল হক। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ময়দর মুন্সীবাড়ি, কামালের বাড়ি ও দেইলার বাড়ির নেতারা, মো. মাসুম মিয়া, আতর মিয়া, মো. হারুন ও মোক্তার হোসেন।
সংঘর্ষে অন্য আহতদের মধ্যে বদুর গোষ্ঠীর পক্ষে আকবর, সালাম, ও সোহাগ এবং ময়দর গোষ্ঠীর বাসার ও বাবুল গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার জানান, আমরা মিজান মিয়াকে মৃত অবস্থায় পাই। নিহতের মরদেহ দুপুর ১টার দিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এখন পর্যন্ত আমরা মিজান মিয়া নামে একজন নিহতের সংবাদ পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, 'এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ না হয়।'
এ পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার শান্তিপূর্ণ অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।