দেশে এখন
0

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও করেছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। সংবিধান বাতিলসহ ৪ দফা দাবি তাদের। অন্যদিকে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তাদের।

৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সেদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।

গণ আন্দোলন পরবর্তী সেই সময়ের প্রায় আড়াই মাস পর সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রের দালিলিক কোনো প্রমাণ পান নি। এরপরই সারাদেশের নানা জায়গায় রাষ্ট্রপতি অপসারণের দাবিতে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ছাত্র জনতাসহ নানা সংগঠন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ (মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণ, সংবিধান বাতিলসহ ৪ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান করছে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি- স্মারক। এসময় স্মারক এর নেতাকর্মীরা নানা দাবি তুলে ধরেন এবং বলেন বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

এরপর স্মারকের নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গভবনের সামনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে অবস্থান করেন তারা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশালে লাঠি মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বেলা ১২টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন সেটা মেনে নোওয়া যায় না। এসময় অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে ছাত্রজনতা কঠোর আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ার দেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে তারা নগরীতে লাঠি মিছিল বের করে।