রাজনীতি
দেশে এখন
0

নিবন্ধন বাতিল প্রশ্নে আইনি লড়াইয়ে ফিরলো জামায়াত

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে নতুন করে আইনি লড়াইয়ের পথ খুললো দলটির। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেবার পর জামায়াতের আইনজীবীরা জানান, শিগগিরই বাকি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

নিবন্ধন বাতিল প্রশ্নে ফের আইনি লড়াইয়ে ফিরলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ২০১৩ সালে হরতালের দিনে শুধু আইনজীবীরা অনুপস্থিত না থাকার কারণ দেখিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের মত একটি সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত মামলার আপিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। মঙ্গলবারের আদেশের পর তা আবারো পুনরুজ্জীবিত হলো।

মূলত ৫ আগস্টের পর নিবন্ধন ফিরে পেতে পুনরায় আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আবেদন করা হয় খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার। যার শুনানি হয় মঙ্গলবার। শুনানি শেষে জামায়াতের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

দলটির নিযুক্ত আইনজীবী জানান, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে সংবিধানসহ অনেক প্রশ্ন জড়িত থাকলেও সে সময় একতরফাভাবে আপিল খারিজ করা হয়।

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এ ধরনের মামলা যেখানে হাইকোর্ট ডিভিশন সার্টিফিকেটেড আপিল হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়েছে, সে ধরণের মামলা শুনানি ছাড়া, অনুপস্থিতিতে এভাবে খারিজ করা যায় না। এজন্য আদালত আমাদের আবেদনের বিলম্ব মার্জনা করেছেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য রেস্টোর বা পুনরুজ্জীবিত করেছেন। এ বিধানের আলোকেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, সংবিধানের প্রশ্ন হলো এভাবে, এ আইনের অধীন কোনো রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন বাতিল করা যায় কি না এই মর্মে হাইকোর্ট ডিভিশন মনে করে এটা সাংবিধানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের বিষয়।’

এ আপিল নিষ্পত্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে দলটির প্রতীক দাড়িপাল্লার বিষয়টিও। কেননা সুপ্রিম কোর্টের প্রতীকও দাঁড়িপাল্লা। যে কারণে এ প্রতীক ব্যবহার না করতে একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। জামায়াতের আইনজীবীর আশাবাদ, নিবন্ধন ফিরে পেলেন প্রতীক নিয়েও জটিলতা কাটবে।

আইনজীবী মনির বলেন, ‘আপিলের পূর্ণাঙ্গ শুনানির ওপর এটা নির্ধারিত হবে। আপিল যখন ডিসপোজ হবে তখন প্রতীকের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। আমরা যে আপিল করেছি, তার সঙ্গে সংগঠনের প্রতীকও জড়িত। আপিল গৃহীত হলেও প্রতীকও অনুমোদন পাবে বলে আমরা মনে করি।’

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে রিট করে তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাদপুরি, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আব্দুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামিক জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন। এ রিটের আলোকে ২০১৩ সালে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। যা পরবর্তীতে আপিল বিভাগেও বহাল থাকে।

এএইচ