৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেঙে পরে নগরের অধিকাংশ থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম। মাঠে ছিলো না ট্রাফিক পুলিশ। সড়কে দেখা দেয় চরম অব্যবস্থাপনা, যানজটে নাকাল হতে থাকে নগরবাসী। পুরো নগরীর ট্র্যাফিক ব্যবস্থার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
ধীরে ধীরে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে ফিরে আসলে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যায়।
ট্রাফিক পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকার জনগণের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছিল। তাই পুলিশ বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। তারুণ্যের শক্তি সামনের দিনে কাজে লাগানো হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, 'এ অভ্যুত্থানের সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ। এর ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সে কারণে এখনো পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যে নৈতিক অবস্থান, যে মোরাল সেটা এখনো সম্পূর্ণরুপে ফিরে আসেনি।'
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সড়কে দিন রাত বিরামহীন কাজ করছে পুলিশ। তবে ধীরগতির যানবাহন ও রিকশার কারণে যানজট নিরসন করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে আবার নানান আন্দোলন আর সড়ক অবরোধের কারণে যানজট আরো মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, একই সড়কে রিকশা, ঠেলাগাড়িসহ অসংখ্য অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করে। মানুষ তাদের প্রয়োজনে এসব যানবাহনের দারস্থ হচ্ছে। ফলে ঢাকা মহানগরীতে সুশৃঙ্খল ও কাঠামোবদ্ধ ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা কঠিনতর হচ্ছে।’
৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক পক্ষ পালন করবে। এই আয়োজন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় লিফলেট, ব্যানার বিতরণ করা হয়।