ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ায় আতঙ্কে নগরবাসী। মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের ঢিলেঢালা কার্যক্রম নিয়ে হতাশ তারা।
নগরবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, 'আতঙ্কে আছি। চারিদিকে বৃষ্টির পানি। পানির মধ্যে মশা উড়তেছে।' ডেঙ্গুর আতঙ্ক বাড়ছে। ফলে তাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে বলেও জানান আরেক নগরবাসী।
চট্টগ্রামে গত ১০ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১১ জন, মারা গেছেন ৪ জন। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭০৯ জন। মারা গেছেন ৯ জন।
যদিও সিটি কর্পোরেশনের দাবি, এ বছর তারা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। মশা নিধনে বাড়ানো হয়েছে লোকবল। নতুন ভেষজ ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ায় মশার উপদ্রব কমেছে দাবি কর্পোরেশনের।
তবে নগরবাসীকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান এই কর্মকর্তার।
চসিক ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো: সরফুল ইসলাম বলেন, 'পূর্ব থেকেই আমাদের প্রস্তুতি ছিল। এ বছর কোনো ধরনের কীটনাশকের স্বল্পতা ছিল না। যন্ত্রপাতিরও কোনো স্বল্পতা ছিল না।'
এদিকে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতি বাড়ানো হয়েছে। কিছু কিছু হাসপাতালে চালু হচ্ছে ডেঙ্গু কর্নার। গেল বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ১৪ হাজার ৮৭ জন এবং মারা যান ১০৭ জন।