এদিন দুপুরে শমসের মবিন চৌধুরীকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করেন পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন জামিন চেয়ে আবেদন করেন এবং ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিলে একই দিনে পাল্টা সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। ওই সমাবেশ ঘিরে ২৭ অক্টোবর বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যৌথ হামলায় অনেকে আহত হন এবং শামীম নামক এক যুবদল নেতা নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দিগ্ধ আসামি শমসের মবিন চৌধুরীকে মামলার সুষ্ঠু তদন্তে ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন বলে জানায় পুলিশ। ভবিষ্যতে মামলার তদন্তের প্রয়োজনে আসামির পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।
শমসের মবিন চৌধুরি বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন। সবশেষ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন হন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।