পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যার স্থায়ী সমাধান আমরাও চাই। শেরপুরে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য আমি সরেজমিনে এখানে এসেছি।’
ফারুক ই আজম বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি করেছে। একইসঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কমিটি করা হয়েছে। কমিটিগুলোতে জনসাধারণ ও এনজিও এবং ক্ষুদ্র ঋণদান প্রতিষ্ঠানদেরকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সবাই মিলেই এই পুনর্বাসনের উদ্যোগকে সফল করা হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার নিরিখে আমাদের পুনর্বাসন কর্মসূচি সম্পন্ন করতে পারব। তার মধ্যে কিছু খুব শিগগিরই হবে। বাকিগুলো ধীরে ধীরে করা হবে।’
মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যাপার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব ও প্রকৌশলী এখানে আসবেন, তারা পুরো বিষয়টিকে খতিয়ে দেখবেন। আমরাও চাই এটার স্থায়ী সমাধান হোক। নাহলে এ ধরনের সমস্যা বারবার সৃষ্টি হতে পারে।’
এদিন ত্রাণ উপদেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। পরে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৫০টি পরিবারের মধ্যে দুই বান্ডিল করে টিন এবং ছয় হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
এ সময় শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।