দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আর সিন্ডিকেটে গত কিছুদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার বেশ চড়া। কোন কোন সবজি ছাড়িয়েছে শতকের ঘর। ৭০ থেকে ৮০ টাকার নিচে কোন সবজিই মিলছে না বাজারে। ডিমের ডজন ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। বাজারে আলু ৬০ আর পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি।
এমন অবস্থায় ক্রেতার নাভিশ্বাস অবস্থা। কাঁচাবাজারও যখন স্বল্প আয়ের মানুষের নাগাল পেরিয়েছে তখন কিছুটা স্বস্তি দিতে সুলভ মূল্যে ৭ ধরনের কাঁচা সবজি এবং অপচনশীল কৃষিপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রথমবারের মতো পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজধানীর ২০ টি স্থানে এসব কৃষিপণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
৭ টি সবজি নিয়ে পচনশীল পণ্যের প্যাকেজের দাম ৩৫০ টাকা। যেখানে থাকছে মিষ্টি কুমড়া, পটল, কচুমুখী, করলা, ৩ কেজি পেঁপে, ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ও ১ টি লাউ। এছাড়া অপচনশীল কৃষি পণ্যের প্যাকেজে থাকছে ৫ কেজি আলু ১৫০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১৩০ এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকায়।
সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন অনেকে। তবে সবার দাবি, সরকারকে দ্রুতই বাজার মনিটরিং করতে হবে। ভেঙে দিতে হবে সিন্ডিকেটের জাল।
ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘বাজারমূল্য বেশি এজন্য আমি মনে করি ভালোই করছে। তবে সরকারকে এখনই বাজার মনিটরিং করতে হবে।’
আরেকজন বলেন, ‘মানুষের সীমিত আয় দিয়ে বাজার করতে গেলে মাথা ঠিক থাকে না। সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা যদি চলমান থাকে তাহলে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে।’
আজ (মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ের পাশে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা।
এসময় কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে বন্যার প্রভাবে দ্রব্যের দাম বেড়েছে।’
শিগগিরি নিত্যপণ্যের দাম কমে যাবে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘বন্যায় শাক-সবজির তো ক্ষতি হয়েছে। এইটাতো অস্বীকার করতে পারবেন না। এইটার জন্য দাম একটু বাড়ছে, শিগগিরই কমে যাবে। আজকে এই প্রকল্প ঢাকায় চালু করা হয়েছে। সবকিছু দেখে পরে অন্য শহরে চালু করা হবে।’
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা জানান, এ পাইলট প্রকল্প সফল হলে বাড়ানো হবে বিক্রয় পয়েন্ট এবং দিনের সংখ্যা।