শাস্ত্রীয় মতে শেষ হয়েছে এ বছরের শারদীয় দুর্গোৎসব। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল হবে সিঁদুর খেলা এবং প্রতিমা বিসর্জন। এ বছরের পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতিদিন দুটি তিথি একইসঙ্গে থাকায় আজ (শনিবার, ১২ অক্টোবর) সকাল ৬টা ১২ মিনিটে হয় নবমীর কল্পারম্ভ এবং বিহিত পূজা।
শাস্ত্রমতে, রামায়ণ যুগের অবতার শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা অধিপতি রাবণ বধের পর নবমী তিথিতে দুর্গার পূজা করেছিলেন ১০৮টি নীলপদ্মে।
তাই দুর্গোৎসবের মহানবমীতে ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজিত হন দেবী দুর্গা। এদিন নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় নবমী বিহিত পূজা।
নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেয়া হয়। ১০৮টি বেলপাতা, আমকাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। নবমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই দশমীর পূজা শুরু হয়। এবং ঘট বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবী-দুর্গাকে।
শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করতে সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এসময় তিনি বলেন, ‘কিছু দুষ্টলোক সমাজে থাকবেই তাদের এড়িয়ে দুর্গাপূজা এখন একটি সার্বজনীন উৎসব।’