দেশে এখন
0

তেজগাঁও এলাকায় রেলওয়ের ১ একর জমি উদ্ধার

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে তেজগাঁও এলাকায় প্রায় ১ একর জমি উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গুঁড়িয়ে দেয়া হয় রেলের জমির উপর গড়ে উঠা ৬৫টি ঘর ও দোকান। ক্ষতিগ্রস্তদের চাওয়া, উচ্ছেদের আগে ছিন্নমূলদের জন্য করা হোক পুনর্বাসন। রেলওয়ে বলছে, দেশজুড়ে চলবে উচ্ছেদ অভিযান।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে টঙ্গী। তেজগাঁও কিংবা চট্টগ্রাম স্টেশন। দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন দুই পাশে যাত্রার সময় দেখা মিলবে রেললাইন ঘেঁষা অসংখ্য অস্থায়ী স্থাপনা। রেলওয়ে বলছে এগুলো অবৈধ স্থাপনা।

আজ (বুধবার, ৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ রেলওয়ে এমন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানে নেমেছে। এদিন তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে কারওয়ান বাজার বস্তি পর্যন্ত উচ্ছেদ করা হয়। গুঁড়িয়ে দেয়া হয় রেলের জমির উপর গড়ে উঠা ৬৫টি অস্থায়ী ঘর ও দোকান।

অস্থায়ী ঘরের বাসিন্দা ও বস্তিবাসীর দাবি, কোন ঘোষণা ছাড়াই করা হয়েছে অভিযান। অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীদের স্থায়ী কাঠামো ভাঙা হয়নি। তাঁদের চাওয়া, উচ্ছেদের আগে ছিন্নমূলদের জন্য করা হোক পুনর্বাসন।

অস্থায়ী ঘরের বাসিন্দাদের মধ্যে একজন জানান, আমাদের বাসস্থান দিলে আমরা সেখানে চলে যাবো।

আরও একজন জানান, এইদিকে অনেক ঘর আছে , রেলওয়ে খামার আছে এইগুলো কেনো এখনো ভাঙা হয়নি।

তবে রেলওেয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়েছিলো এখনকার বাসিন্দাদের। তারপরও সরানো হয়নি অবৈধ স্থাপনা। আর স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল কাঠামো উচ্ছেদে এই অভিযান সারাদেশে চলমান থাকবে।

ঢাকা সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'এক সপ্তাহ আগে তাদেরকে মাইকিং করে জানানো হয়েছে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করার জন্য। আর যদি না সরানো হয় আমাদের আজকে উচ্ছেদ করার কথা ছিল। আমাদের এই কাজ চলমান থাকবে। আস্তে আস্তে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।'

এদিন তেজগাঁও ও কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে রেলের প্রায় ১ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

এলাকাবাসী বলছে, রেলের জমি সংরক্ষিত রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত তদারকি।