দেশে এখন
0

কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হয়নি: ড. ইফতেখারুজ্জামান

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে সড়ক-পরিবহন ও সেতু বিভাগে ২৯ থেকে ৫২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে টিআইবি। এরমধ্যে কার্যাদেশ পাওয়া ও ঠিকাদারকে বিল পেতে ঘুষের পরিমাণ বরাদ্দের ১১ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত। এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরমায়েশি প্রকল্প অনুমোদনের নজিরও রয়েছে।

কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, তবে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন বা সংস্কার হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সড়ক পরিবহন খাতে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো ব্যবহার অনুপযোগী ও টেকসই হয়নি বলে মনে করে সংস্থাটি।

২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সড়ক ও জনপথের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজে ২৯ হাজার কোটি টাকা থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে।। যা ঠিকাদার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ হতো। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ পর্যায়ে খুব দ্রুততার সাথে বাজেট বরাদ্দ ব্যয় করা হয়েছে বলেও টিআইবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আজ (বুধবার, ৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে 'সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক প্রতিবেদনের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক একটা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রকল্প উন্নয়ন ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ায় বা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় দুই থেকে নয় গুণ বেশি, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। আমরা মনে করি, এই ত্রিপক্ষীয় যে চক্র এটাকে ভাঙতে হবে।'

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে দেশের দৃশ্যমান উন্নতি দেখানো হয়েছে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। শুধুমাত্র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেই এই খাতের ২৫৮ টি প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। আর এই ২০০৯-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মোট উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, তবে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন বা সংস্কার হয় নি। এই কারণে এখনো অনেক তথ্য পাওয়া যায় না। যে সকল বিষয় আইনগতভাবে প্রকাশযোগ্য তার সব কিছুই চাওয়ার আগে প্রকাশ করতে হবে।

এসএস