এ সময় তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তার সফরে রাজনীতি, অর্থনীতি ও শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে ঢাকায় আসলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আসেন মালয়েশিয়ার ৫৮ সদস্যদের প্রতিনিধি দল। এখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি।
এরপর দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করবেন দুদেশের প্রতিনিধি দল। এরপর যৌথ ব্রিফিং করবেন দুই দেশের সরকার প্রধান।
বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধামন্ত্রীকে স্বাগত জানান ড. ইউনূস। ছবি: এখন টিভি
বিকেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যাবেন। প্রায় তিন ঘণ্টা সফর শেষে সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ২০০০ সালে প্রথম মালয়েশিয়ায় সরকারি সফরে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক যুগের বেশি সময় পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার দেশটি সফর করেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছিলেন মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। এরপর চলতি বছর সংক্ষিপ্ত সফরে আসলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
আনোয়ার ইব্রাহিম ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর মালয়েশিয়ার ১০ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি মালয়েশিয়ার পিপলস জাস্টিস পার্টি সংগঠিত করেন। ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বা ইউএমএনওর সদস্য থাকাকালীন ১৯৯৩-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৯১-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।