হামলায় আহতরা হলেন অ্যাডভোকেট হাসান আল মামুন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী টুটুল, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট আনিস এবং অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার।
ঘটনার পরই আইনজীবী সমিতিতে ভিড় করে অন্যান্য আইনজীবীরা। এ সময় তারা জানায়, বিকেলে হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সমিতি সভাপতির কক্ষে হামলা চালায়। এ সময় অন্যান্য আইনজীবীদের সাথে কক্ষে বসে ছিলেন সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল।
সমিতির সভাপতিকে বাঁচাতে অন্যান্য আইনজীবীরা ঘিরে ধরলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা । এ সময়, সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম নিরাপদে বের হতে পারলেও দুর্বৃত্তদের আঘাতে আহত হয় সাথে থাকা পাঁচ আইনজীবী।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল অভিযোগ করে বলেন, 'জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জনের একটি দল হামলা করে। তাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কী কারণে এই হামলা হয়েছে তা আমি নিজেও জানি না।'
হামলায় আহত অ্যাডভোকেট হাসান আল মামুন বলেন, 'কী কারণে হামলা হয়েছে তা বলতে পারছি না৷ দুর্বৃত্তরা আমাকে হঠাৎ করে এসে কিল ঘুষি শুরু করে। আমি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি।'
এ বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অভিযুক্ত ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন যায় । তবে, তার ফেসবুকে তিনি ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তাকে বলতে দেখা যায়, 'আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে আজকে নতুন বাংলাদেশ হয়েছে। তারেক রহমান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম, নাশকতা প্রতিরোধে আমরা ছিলাম। গতকাল মাধবদীতে একটি মামলা হয়েছে, সেই মামলার বাদীকে আইনজীবীসহ আওয়ামি লীগের লোকজন জোরপূর্বক তুলে এনে মামলা প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করে। আমরা এসে বাদীসহ হলফনামা উদ্ধার করেছি।'
ভিডিও বক্তব্যে মামলার হলফনামা দাবি করে একটি কাগজ উঁচিয়ে ধরেন। পরে, ভিডিওতে এই সংক্রান্ত আরও কথা বলেন নাহিদ।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ। এ বিষয়ে থানার ওসি তদন্ত মো. শামিম বলেন, 'আমরা এখনও বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।'
এরপর, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি৷