ডা. নোমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং ময়মনসিংহ নগরীর জমির মুন্সী বাইলেন এলাকার মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে। নিহত ডা. নোমানের স্ত্রী ময়মনসিংহ মেডিকেলের এনাটমী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইসমত আরা।
স্বজন ও পুলিশ জানায়, ডা. নোমান হাসপাতালের দায়িত্বপালন শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে নগরীর পিয়ন পাড়ার নিজ বাসায় আসেন। প্রতিরাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুমালেও দুর্ঘটনার রাতে তিনি আলাদা একটি কক্ষে একা ঘুমাতে যান। ওই সময় নিজের বিছানার একপাশে বরাবরের মতো মোবাইল ফোন মাল্টিপ্লাগে চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে যান। ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটে ফোনটি বিস্ফোরিত হয়। এতে দগ্ধ হন ঘুমন্ত ডা. নোমান। এতে তাঁর দুই হাত, বুক, নাক-মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। পরে বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে পরিবারের লোকজন তরিকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই তাসরিকুল আলম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ ঘটনায় মামলা করবেন না মর্মে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নেয়ার আবেদন করেন। পুলিশের কাছেও একই রকম একটি আবেদন দেয়া হয়। পরে পুলিশ বিনা ময়নাতদন্তে ডা. নোমানের লাশ পরিববারের কাছে হস্থান্তর করে।
বিকেলে ডা. নোমানের মরদেহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি এলাকার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম খান জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুড়ে যাওয়া মাল্টিপ্লাগটি ও বিস্ফোরিত মোবাইলের ছিন্নভিন্ন অংশ দেখতে পান। বৈদ্যুতিক শটসার্কিটে মাল্টিপ্লাগে আগুন লেগে চার্জ থাকা মোবাইল ফোনটি বিস্ফোরিত হয় থাকতে পারে। তবে ফোনটি কোন কোম্পানির তা জানা যায়নি।