বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি এক মাসেরও কম সময়। পূজার ছুটিতে কলকাতার অনেকে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। কিন্তু গেল জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা শুরু হয়। এর প্রভাব পড়ে কলকাতার ভিসা অফিসে।
দেখা যাচ্ছে, গেল কয়েক মাসে বাংলাদেশের ভিসা আবেদনকারীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমেছে। ভিসা আবেদনকারীদের মধ্যে একজন জানান, 'এখনও এ্যাপ্লিকেশন করলে পাওয়া যাচ্ছে ভিসা।'
যারা বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করছেন, ১৫ দিনের মধ্যেই তাদের ভিসা দিচ্ছে কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল ভিসায় ভারতে আসা যাত্রীদের কিছুটা চাপ থাকলেও, প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১ হাজার যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত পারাপার করছেন। কাস্টমস সূত্র বলছে, এর আগে এই সংখ্যা ছিল ৫ থেকে ৭ হাজারের কাছাকাছি।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থল বন্দরের রাজস্ব আদায়ও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার ব্যবসায়ী, অটো রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ।
শারদীয় দুর্গোৎসবের ঠিক আগ মুহূর্তে সীমান্তকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে চাঙ্গাভাবের আশায় মুখিয়ে থাকেন দু'পারের মানুষ। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, বাড়বে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার- সেদিকেই এখন তাকিয়ে সংশ্লিষ্টরা।