জেলার ছয় উপজেলায় এলজিইডির ৪ হাজার ৩৫৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৩ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আনুমানিক ৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের ১৯টি সড়কের মধ্যে প্রায় সবগুলোই।
এতে আনুমানিক ৪০ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের।
স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘বন্যা হয়েছে একমাস। রাস্তাঘাট ভাঙা, আমরা চলাচল করতে পারি না।’
আরেকজন বলেন, ‘হাসপাতালে যেতে পারি না এই ভাঙ্গা রাস্তার কারণে। যেতে কষ্ট হয় কোনো গাড়ি যায় না।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরিদর্শন করে তা উচ্চমহলে জানানো হয়েছে। ডিপিপি হয়ে নতুন করে প্রকল্প হলেই কাজ পুরোদমে শুরু হবে।
পরশুরাম এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী এস.এম শাহ আলম ভূঞাঁ বলেন, ‘কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার একটি বিবরণ আমাদের হেড কোয়াটারে পাঠিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্থ করেছে একটা ডিপিপি হয়ে নতুন করে প্রকল্প নেয়া হবে।’
জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে সাধারণের চলাচলের উপযোগী করবেন এমটাই প্রত্যাশা বন্যা দূর্গত এলাকার সাধারণ মানুষের।