আজ (শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত কেন্দুয়া ও পূর্বধলা উপজেলায় বিদ্যুৎ চালু করা গেলেও বিচ্ছিন্ন রয়েছে দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়। নেত্রকোণা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মাসুদ আহমেদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে প্রায় আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় কারণে দুর্গাপুরে উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে গ্রাহকদের মাঝে।
গতকাল শুক্রবার নেত্রকোনায় তীব্র তাপদাহে তাপমাত্রা উঠে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। শনিবার সকাল দশটার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলেও দুপুর দেড়টার পর জেলার সর্বত্রই ঝড়ের বাতাস শুরু হয়। দুইটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয় জেলার প্রায় সব কয়টি উপজেলায়। তবে বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় ও বজ্রপাতের কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ পরিষেবা।
পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণা জেলার আটটি ফিডারের মধ্যে এখন পর্যন্ত সচল রয়েছে ছয়টি ফিডার। এরমধ্যে প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধের পর রাত আটটায় নেত্রকোণা গ্রিড থেকে পূর্বধলা লালমিয়ার বাজার পর্যন্ত ৩৩ কেভি লাইন চালু হয়।
তবে লালমিয়ার বাজার থেকে জারিয়া আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত লাইনে ইনসুলেটর ক্র্যাক করার জন্য লাইন চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো দুর্গাপুর উপজেলা। এছাড়াও হাওর বিস্তৃত মোহনগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে লাইন গুলো দ্রুত মেরামতের জন্য পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি টিম কাজ করছ বলেও জানা গেছে।
নেত্রকোণা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মাসুদ আহমেদ জানান, শনিবার দুপুর ২ টার পর থেকেই ঝড়ো বাতাসের কারণে নেত্রকোনার কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
রাতের আটটার মধ্যেই কেন্দুয়া ও পূর্বধলায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। সঞ্চালন লাইনে সমস্যা থাকার কারণে এখন পর্যন্ত দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। লাইন চালু করার জন্য মাঠে বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে আশা করি রাতের মধ্যেই সব কয়টি লাইন চালু হয়েছে যাবে।