সংলাপে অংশ নেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ,আইন বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বক্তারা এসময় স্পষ্ট করেন সংস্কারের জন্য সরকার ও জনগণের সমন্বয় দরকার, বলেন, সরকারের দুর্বলতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার বিকল্প নেই।
তারা বলেন, ‘বিপ্লবের সফলতা বাস্তবায়নে গণতন্ত্র প্রয়োজন।’ একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় রেখে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করার তাগিদ দেন তারা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সরকারের পদক্ষেপ দুর্বল। একদিকে পাহাড় অশান্ত হচ্ছে, একদিকে আন্দোলন চলছে। গার্মেন্টস শিল্প অস্থিতিশীল। এর মাঝে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রথম স্টেকহোল্ডার। তাদের সাথে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ওপেন আলোচনা করে নাই।’
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘আমি এখনো চাই এই সরকার ভালো করুক। আমি ওইরকমভাবে বলবো না যে এই সরকারের যতসময় লাগে তত সময় থাকুক। এইটা কোনো কথা হতে পারে না।’
ছাত্র জনতার স্বপ্ন ধারণ করে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সংলাপে অংশ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কার প্রস্তাবনা আসা মাত্রই সংস্কার হয়ে যাবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সমাজের প্রতিটি জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়েছে। তাই রাতারাতি সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সমাজের প্রতিটা জায়গায় ফ্যাসিজমের দোষরা বসে আছে। সেখানে একরাতে সবকিছু টান দিয়ে ঠিক করা সম্ভব না।’
বিভক্তির রাজনীতি শুরু হলে, সুশাসন প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ এসেছে, তা ব্যর্থ হবে, বলে মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার। আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজসহ সবাইকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা যদি একত্রিতভাবে কাজ নাৎ করি তাহলে অবশ্যই আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা সরকারের অবস্থান সম্পর্কে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সংলাপের আহ্বান জানান।