প্রায় ২০ লাখ জনগোষ্ঠীর জেলা নাটোরে প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে অন্তত দেড় শতাংশ হারে। স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আবাসনের চাহিদা। মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে এক টুকরো জমির আকাঙ্ক্ষা শহরে বসবাসকারী বেশিরভাগ বাসিন্দার।
নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়। সরকারি এ অফিসকে ঘিরে আশপাশে ঝুলছে প্লট আকারে জমি বিক্রির একাধিক সাইনবোর্ড। এক সময় এসব জমিতে নানা ফসল হলেও এখন এসব কৃষি জমিকে প্লট বানিয়ে চলছে আবাসন ব্যবসা। সাধ্য অনুযায়ী অনেকে প্লট কিনছেন। কেউ বা কেনার জন্য প্রতিদিনই আসছে দেখতে।
দিন দিন চাহিদা বাড়ায় গেলো কয়েক বছরে নাটোরে জমি কেনাবেচার পাশাপাশি বেড়েছে প্লট বিক্রির হিড়িক। শহরের আশপাশে কৃষি জমিতে প্লট বিক্রির ব্যবসাও বেড়েছে দ্বিগুণ। আগে যে জমি তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা শতাংশ বিক্রি হতো প্লট আকারে এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
এক সময় এসব জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল হলেও দিন দিন কৃষি জমিগুলো চলে যাচ্ছে আবাসন খাতে। চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে কৃষি জমিকে প্লট বানিয়ে চলছে আবাসন ব্যবসা। এতে একদিকে যেমন কমছে কৃষি জমি,অন্যদিকে প্লটের এসব জমি অনাবাদি থাকছে বছরের পর বছর।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা বাড়ায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন বাড়ি। তবে সে সব বাড়ি বা কৃষি জমিতে প্লট ব্যবসায় নেই অনুমোদন। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব প্রকল্পে নাগরিক সুবিধা পাওয়া নিয়েও রয়েছে সংশয় ।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, নানা কারণে প্রতিবছর এক শতাংশ হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। এরউপর ফসলি জমিতে আবাসন গড়লে কমে যাবে উৎপাদন।
খাদ্যের যোগান স্বাভাবিক রাখতে কৃষি জমি নষ্ট করে অন্য কোনকিছু নয়, বলে জানালেন নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে অকৃষি জমিতে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে একদিকে পূরণ হবে চাহিদা, পাশাপাশি রক্ষা পাবে কৃষি।