সাবিয়া বেগম পরিবার নিয়ে বাস করতেন একটি মাটির ঘরে। ঋণ করে বানিয়েছিলেন একমাত্র থাকার ঘরটি। কিন্তু বন্যায় তার সবকিছু কেড়ে নিয়ে গেছে। এমনকি সুপেয় পানির একমাত্র ভরসার স্থল টিউবওয়েলটিও বন্যার পানির তোড়ে ভেঙেছে।
সাবিয়া বেগম বলেন, ‘ছোট একটা বাসায় দুই পরিবার থাকতাম কিন্তু বন্যার পানি সব কেড়ে নিলো।’
সাবিয়া বেগমের মতো অনেকেই বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বানিয়েছিলেন স্বপ্নের মাথাগোঁজার ঠাঁই। কিন্তু, প্রলঙ্করী বন্যা তাদের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসব বন্যা দুর্গতরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কুলাউড়া, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও সদর উপজেলার বাসিন্দারা।
তবে, এসব বানভাসি মানুষের অভিযোগ এখনও তারা পাননি সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘ঋণ নিয়ে ঘর বানিয়েছি কিন্তু ৪ মাসও থাকতে পারলাম না।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দাবি, বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। তবে, বেশিরভাগ ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন সরকারি সাহায্যের।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকারি সহযোগিতার টাকা পাওয়া মাত্রই বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
মৌলভীবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সরকারি সহযোগিতার টাকা পেলে তাদেরকে দেয়া হবে।'
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় মৌলভীবাজারের ৪ উপজেলায় সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের দাবি পুনর্বাসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার।