চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এরপরই শাটডাউনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন চিকিৎসকরা।
উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন স্থগিত করা হলেও হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও রুটিন সেবা বন্ধ থাকবে। আগামী সাত দিন এভাবেই সেবা চালু থাকবে। এর মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে আবারও কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
চিকিৎসকরা শাটডাউন থেকে সরে আসলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই চিকিৎসাসেবা শুরু হবে বলেও জানান তারা। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে একজন চিকিৎসক একজন নিরাপত্তাকর্মী দেয়ার দাবিও জানানো হয়।
অন্যদিকে গতকাল (শনিবার) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থীসহ ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়।