বৈঠকে এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্ক থাকতে এবং কোনও লক্ষণযুক্ত যাত্রী থাকলে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। আগমনের ২১ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলি দেখা দিলে যাত্রীদের ১০৬৫৫ নম্বরে কল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জন্য সতর্কতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এইচএসআইএ স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের সনাক্ত ও করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে তারা লিফলেট প্রদান করছে। সেইসঙ্গে দেশে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসকরা কাজ শুরু করেছেন।
যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার আর্চওয়ের মাধ্যমে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক রোগ হাসপাতাল (আইডিএইচ) এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
গতকাল (শুক্রবার, ১৬ আগস্ট) সিভিল অ্যাভিয়েশনের অপারেশনস মেম্বার এয়ার কমোডর এ এফ এম আতিকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম কামরুল ইসলাম, শেখ দাউদ আদনান, পরিচালক, সিডিসি, ডিজিএইচএস, ডাঃ নাসির আহমেদ খান, সিনিয়র উপদেষ্টা, আইএইচআর, ডাঃ এএসএম আলমগীর, জাতীয় পেশাদার কর্মকর্তা, ডাব্লিউএইচও, এওসি চেয়ারম্যান মিসেস দিলারা আহমেদ, এইচএসআইএস্বাস্থ্য বিভাগীয় ডাঃ শামীমা, এবং এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মাংকিপক্সের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর (৩৮.৫° সেলসিয়াস), মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, ফোলা লসিকা গ্রন্থি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। লসিকা গ্রন্থির ফোলাভাব মাংকিপক্সের একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত লক্ষণ।
মাংকিপক্স প্রতিরোধে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো, মেডিক্যাল মাস্ক পরা, ত্বক থেকে ত্বকে সংস্পর্শ এড়ানো এবং ডিসপোজেবল গ্লাভস ব্যবহার করা, সাবান এবং পানি বা অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড রাব দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সিডিসি প্রতিনিধিরা।