শহরের দেয়ালে দৃষ্টি দিতেই চোখে পড়ে রং তুলির খেলা। গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম আঁকার কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। পূর্বের লেখা ঢেকে যাচ্ছে ছবি আর নতুন নতুন শব্দে। দেয়া হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার বার্তা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'যেগুলো দেয়ালে লেখা হয়েছিল, সেগুলো থাকা দরকার ছিল। কিন্তু আমরা চাই না পরবর্তীতে যারা আসবে তারা এসে সরকারের নামে এরকম খারাপ কিছু দেখুক। আন্দোলন শেষ, সরকার শেষ সেজন্য এখন আর এগুলো রাখার প্রয়োজন নেই।'
শহর বিস্তৃত এই দেয়াল চিত্র নিয়ে কেউবা করছেন প্রশ্নবোধক চিহ্ন।
একজন পথচারী বলেন, 'স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সবাই আন্দোলন করেছে, সেট রেখে দেয়া প্রয়োজন ছিল। সবার স্মৃতিতে থাকতো। পরবর্তীতে কোনো সরকার আসলে তারা বুঝতো যে না, ছাত্ররা আন্দোলন করতে পারে।'
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'স্টেপডাউন হাসিনা, কিলার হাসিনা, যেগুলো আমাদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেমাস হয়েছিল, সেগুলো কয়েকটা স্মৃতি হিসেবে থেকে গেলে ভালো হতো। এই স্লোগানগুলোর মাধ্যমেই মানুষ সবাই এক হয়েছে। এর মাধ্যমেই কিন্তু আন্দোলনটা একটা দিকে লিড দেয়া হয়েছে।'
মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি অভ্যুত্থানকালীন দেয়াল লিখনগুলো সংরক্ষণ করার কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, 'শুধু বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় না, সারাদেশেই পরিকল্পিতভবে ছাত্রদের ব্যবহার করে এই জিনিসগুলো করা হচ্ছে। কিছু কিছু নির্দিষ্ট জায়গাগুলো সব মুছে দেয়া হচ্ছে। কিছু কিছু অ্যাসথেটিক ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো কোনোভাবেই বিপ্লবের স্বাক্ষীকে বহন করে না। আমরা ছাত্রসমাজকে বলতে চাই, এগুলো বিপ্লবের যে চেতনা, স্মৃতি। এগুলো আপনারা সংরক্ষণ করুন।'
শুধু দেয়াল চিত্রই নয়, পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ ও নগর পরিছন্নতার কাজ করে নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় তরুণ প্রজন্মের।