আজ (সোমবার, ১২ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সবসময় আছে। আগেও ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে এবং আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলা চালিয়েছে, তারা প্রকৃতপক্ষে দুর্বৃত্ত। এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। পুলিশ কাজে ফিরে এসেছে। তাই এরকম আর কোনো ঘটনা ঘটবে না।’
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও দেশের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের রক্ষায় একটি হটলাইন নম্বর খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর করা যাবে।’
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে উপাসনালয় ও অন্যান্য ক্ষতির তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে। এছাড়া, ধর্ম মন্ত্রণালয় আজকের মধ্যে হটলাইন চালু করার চেষ্টা করছে, যাতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার তথ্য দ্রুত জানা যায় এবং ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সহজতর করতে চাই, যাতে কেউ প্রতারিত না হয়। কিছু এজেন্সি মানসম্মত সেবা দেয় না, সেগুলোকে কঠোর নজরদারিতে আনা হবে। বর্তমানে হজযাত্রী পরিবহনে তিনটি বিমান কোম্পানির বাইরে আরো কোন কোম্পানিকে যুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
এ সময় ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।