কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে গেল ৮ আগস্ট শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। এর ৫ দিনের মাথায় দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের অবহিত করতে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ (সোমবার, ১২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বিদেশি কুটনীতিকরা আসতে থাকেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। ঠিক তিনটায় শুরু হয় নতুন সরকারের প্রথম কূটনৈতিক ব্রিফিং। যেখানে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের ৬৪ জন প্রতিনিধি।
বিদেশি অতিথিদের সামনে সদ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়া উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন তুলে ধরেন কোন প্রেক্ষাপটে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হলো এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকারের পরিকল্পনা কী?
ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার, নিরাপত্তা ও বিনিয়োগের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। এসব বিষয়ে উপদেষ্টাও আশ্বস্ত করেছেন অতিথিদের। সব ঠিক হতে চেয়েছেন সময়।
প্রায় আধঘণ্টার ব্রিফিং শেষে বেরিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা, ছাত্রদের পক্ষে সংহতি জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সাথে আছি।
এর পর গণমাধ্যমে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, তরুণদের এই বিপ্লবের প্রশংসা করেছেন তারা। সামনের নির্বাচনে তরুণদেরও যেন প্রতিনিধিত্ব থাকে সেটাও চান তারা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, তরুণরা এত বড় কাজ করলো। আগামী নির্বাচনে যে তরুণরা নির্বাচিত হয়ে আসে সংসদে। তাদেরকে বরা হয়েছে এই উপদেষ্টাতে দুইজন তরুণ রয়েছে।
এসময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরের বিষয়ে মত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের মিডিয়াকে এখান থেকে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। তারা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের মিডিয়াকেও সত্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারতের মিডিয়া যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে তাতে আমাদের মিডিয়াকে সত্য তুলে ধরে কাউন্টার দিতে হবে তাদেরকে।’
শেখ হাসিনার ভারতে থাকার সাথে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে কোন প্রভাব পরবে না বলেও জানান এই কূটনীতিক।