রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেয় বাংলাদেশ। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় বিশাল অঙ্কের এই ঋণ পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ঋণের আসল পরিশোধের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও তাতে নেই কোনো অগ্রগতি।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার রাশিয়ার ঋণে নেওয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ চুক্তিগুলো পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে ঋণ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একধরনের টানাপড়েনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খুজিন। দায়িত্ব নেবার পর রোববার দুপুরে প্রথমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এতে উঠে আসে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থ, বাণিজ্য, শ্রমশক্তি রপ্তানি ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মতো বিষয়গুলো।
বৈঠক শেষে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের অর্থ পরিশোধের জটিলতা দ্রুতই কেটে যাবে। রাশিয়া বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন বলেন, ‘ওহ, রূপপুর। হ্যাঁ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় ও অফিশিয়ালদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি অর্থ ছাড় ইস্যু দ্রুতই সমাধান হবে। নিশ্চিত সমাধান হবে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রাশিয়ার এই কূটনীতিক বাংলাদেশ থেকে শিপ বিল্ডিং, হসপিটালিটি ও কৃষিখাতে লোক নেবার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতা বজায় রেখে যাবে। রাশিয়াতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের বেশকিছু সুযোগ রয়েছে। যেগুলো আমরা দুইদেশ পর্যালোচনা করে দেখবো।’