দেশে এখন
0

যশোরে প্রায় দেড় কোটি টাকার কাঁঠালের বাজার

যশোরের বসুন্দিয়ায় কাঁঠালের মোকাম এবারও জমে উঠেছে। এখানকার কাঁঠালের চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। সু-স্বাদু এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা এখানে কাঁঠাল কিনতে আসেন। প্রতিহাটে মোকামটিতে ১ থেকে দেড় কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

দেশে কাঁঠাল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম যশোর। জেলার বসুন্দিয়া, বাঘারপাড়া, চৌগাছা, অভয়নগর, দেয়াপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ কাঁঠাল উৎপাদন হয়। এসব কাঁঠাল সুস্বাদু হওয়ায় জেলার বাইরেও এর চাহিদা রয়েছে।

যশোর জেলার ২৫ কিলোমিটার দূরে যশোর-খুলনা সড়কের ভৈরব নদের পাড় ঘেঁষে বসুন্দিয়া বাজার। এখানেই যশোরে কাঁঠালের সর্ববৃহৎ মোকাম। যেখানে প্রতি হাটে ২ থেকে আড়াই লাখ পিস কাঁঠাল ওঠে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ থেকে দেড় কোটি টাকা।

প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসুন্দিয়া বাজারে বসে কাঁঠালের মোকাম। কুয়াকাটা, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যাপারীরা এখান থেকে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বলেন, এই অঞ্চলের কাঁঠালের মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি থাকে।

এবারও উৎপাদন আশানুরূপ। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর কাঁঠালের দাম কম বলে জানান চাষীরা।কাঁঠাল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কৃষকরা যাতে উন্নত জাতের কাঁঠাল উৎপাদন করতে পারে সে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই উপপরিচালক।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, 'কাঁঠাল থেকে যদি জ্যাম, জেলি বা চিপস তৈরি করা যেত তাহলে তাহলে কৃষক আরো বেশি লাভবান হতো। আমরা এই ব্যাপারে উদ্যোক্তা তৈরির চেষ্টা করছি'।

যশোর জেলায় এবছর ৮শ' ৯৩ হেক্টর জমিতে ১৫ লাখ গাছ থেকে ২২ হাজার ৩২৫ মেট্রিকটন কাঁঠাল উৎপাদন হয়েছে। যার বাজার মূল্যে ৫৫ কোটি টাকারও বেশি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

tech