দেশে এখন
0

রাত বাড়লেই রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ছে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আতঙ্ক

রাত বাড়লেই রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। কোনো থানা বা এলাকাতে পুলিশ তার দায়িত্ব পালন না করায় দলবদ্ধ ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা প্রতিরোধে পাহারায় নেমেছেন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দা নিজেরাই। ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে কখনো কখনো এলাকাবাসী সহায়তার জন্য ফোন করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে। শুক্রবার রাতেও বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।

গেল ৪ থেকে ৫ রাত ধরে ঢাকায় নতুন আতঙ্কের নাম যেন ডাকাত। শুক্রবার রাতেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় রাজধানীবাসীকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বনশ্রী, রামপুরা, শাঁখারিবাজার, কাঁঠালবাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসব মহল্লার মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করা হয় সবাইকে।

বিভিন্ন সড়কে গিয়ে দেখা যায় সতর্ক অবস্থানে তরুণ-যুবারা পাহারা দিচ্ছে অলিগলি ও রাজপথ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাত দল এলাকায় প্রবেশ করেছে শুনতে পেয়ে সবাই নেমে এসেছেন সড়কে। এরইমধ্যে বেশকিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সেখানে দেখা যায় ডাকাত দলের সদস্যদের ধাওয়া দিচ্ছে এলাকাবাসী।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘যেকোনো হামলা, লটপাট প্রতিরোধে আমরা এলাকাবাসী গলিতে  ও রাস্তার মোরে পাহারা দিচ্ছি।’

এলাকাবাসীরা জানান, পুলিশের অনুপস্থিতিতে মোড়ে মোড়ে লাঠি ও বাঁশি হাতে ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন সবাই। পাড়ায় যাদের অপরিচিত মনে হচ্ছে তাদের সবাইকেই নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। এসময় ফার্মগেট এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ একটি চক্রকে আটক করে সেনাবাহিনী।

বাসিন্দাদের আরেকজন বলেন, ‘ইদানিং এলাকায় যাদের অপরিচিত মনে হচ্ছে তাদের সবাইকেই নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।’

মার্কেটের দোকানের কর্মচারীদের একজন বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির কর্মচারীরা এসে আমরা মার্কেট পাহারা দিচ্ছি।’

গত বুধবার ৭ আগস্ট আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।

ঢাকায় ডাকাতি অথবা জননিরাপত্তা হানিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সেনাবাহিনী সদস্যদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবিও তৎপর রয়েছে। রাজধানীবাসীর আশা, দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক নগরজীবনে।

tech