মাথায় জাতীয় পতাকা, গলায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড নিয়ে ট্রাফিক সিগন্যালে ঘাম ঝরাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের বাঁশি আর হাতের ইশারায় চলছে নগরের সব যানবাহন। পাশাপাশি সড়কে বাস, মাইক্রো, সিএনজি ও রিকশার জন্য লেন ভাগ করে দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে অসংখ্য শিক্ষার্থী।
এই চিত্র রাজধানীর সব ট্রাফিক সিগন্যালে। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাতে কি! সড়কের ত্রাণকর্তা হিসেবে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। তীব্র গরম আর রোদ উপেক্ষা করেই দায়িত্ব পালন করে তারা। ট্রাফিক ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা রোধ করাই তাদের চ্যালেঞ্জ।
নগরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করতে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আনসার বাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও দেখা যায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সময় পার করতে।
ট্রাফিকের দায়িত্বে এক শিক্ষার্থী বলেন, 'যতদিন ট্রাফিক পুলিশ বা সরকার ঠিক হবে না ততদিন আমরা এই দায়িত্ব পালন করে যাব।'
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রত্যেক ইউনিটে কমপক্ষে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে।’ শিক্ষার্থীরা জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজন এর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা। পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হওয়া জরুরি।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা যদি নাগরিক হিসেবে ঠিক হই তাহলে এর সিস্টেম ঠিক বা না ঠিক তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের নাগরিকদের কার্যকলাপ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।'
এদিকে সড়কের এমন ব্যবস্থাপনায় খুশি রাস্তায় চলাচলকারীরাও। চালকদের একজন বলেন, 'সার্জেন্ট ট্রাফিক অনেক হয়রানি করে সেদিক থাকে তারা আমাদের কিছু করছে না।'
দিনব্যাপী পরিশ্রম করা এসব শিক্ষার্থীর জন্য খাবার ও পানি সরবরাহ করতেও দেখা যায় অনেককেই। এছাড়াও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ক্যাম্পাসসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানেও নেমেছে শিক্ষার্থীরা।