দেশে এখন
0

ছাত্রজনতার উদ্যোগে বদলেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চিত্র

কখনও হকাররা উঠছেন, কখনও বা উৎসুক জনতা ছবি তুলছেন। আবার সেই একই জায়গায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। এই দৃশ্য ছিল গত দু'দিন ঢাকার উড়ালপথ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। কিন্তু ছাত্র জনতার উদ্যোগে আজ (বুধবার, ৭ আগস্ট) থেকে বদলেছে সেই চিত্র। তবে এখনও বন্ধ আছে টোল আদায় কার্যক্রম। অপরদিকে, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের দুর্বৃত্তদের পুড়িয়ে দেয়া টোল প্লাজাগুলোতে ম্যানুয়ালি আদায় হচ্ছে টোল।

ছাত্র জনতা আজ সামাল দিচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশ মুখ। মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, পায়ে হেঁটে যাওয়া উৎসুক সাধারণ মানুষ যে যেভাবে পেরেছেন গত দু'দিন উঠেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আনন্দ-উল্লাসে বিজয় মিছিল করেন সর্বস্তরের মানুষ। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেরই একটি হয়ে ওঠে ঢাকার এই উড়ালপথ। তবে সেই বিজয়ের দু'দিন পেরিয়ে গেলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্তৃপক্ষই খোঁজ রাখছেন না। এমন অবস্থায় ছাত্র জনতার পক্ষ থেকেই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে নিষিদ্ধ সকল যানবাহন।

একজন ছাত্র বলেন, 'ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আমরা আসছি। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রতিটি পয়েন্টে আমরা দাড়িয়েঁছি যেন এখানে নিষিদ্ধ যানবাহন যেগুলো আছে, সেগুলো যেন এর ওপর উঠতে না পারে। মোটরসাইকেল বা সিএনজি চললে এখানে এক্সিডেন্ট হবে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাটা বেশি জরুরি। আশা করি নতুন সরকার আসলে যে জায়গাগুলো থেকে রাজস্ব আসে সেখান থেকে সঠিকভাবে রাজস্ব নেয়া শুরু করবে।'

তবে, দেখা মেলেনি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাতা ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের কর্মীদের। এ কারণে এখনও বন্ধ আছে যানবাহন থেকে টোল আদায় কার্যক্রম। টোল না দেয়ার কারণে অনেক চালক যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনেকে আবার রাষ্ট্রের এমন টালমাটাল অবস্থায় সরকার রাজস্ব হারানোয় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

একজন যাত্রী বলেন, 'আমরা আসলে অনেক খুশি, কারণ ঢাকা শহরের এই জ্যামের ভেতর যদি এই ফাঁকা এক্সপ্রেসওয়ে ফ্রি পাওয়া যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা।'

অন্য একজন যাত্রী বলেন, 'এখানে টোল বন্ধ করার কোনো কারণ আমি জানি না। কারণ এটা চলছে নিজেদের মতো করে, সেজন্য আমি মনে করি না এই টোল বন্ধ করা ঠিক হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব চালু হলে এটা আমাদের জন্যই ভালো।'

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গত ১৮ ও ১৯ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের দু'টি টোল প্লাজায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তকারীরা। এতে টোল প্লাজা দু'টি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ রাখা হয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যান চলাচল।

এদিকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের দুইটি টোল প্লাজাও দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যায়। তবে চালু করা হয় ম্যানুয়ালি টোল আদায়।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর