দেশে এখন
0

বন্যায় ফেনীতে ৫০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি

গত দু'দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি ফেনীর ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষি ও মৎস্য খাত। সঠিক হিসাব না পেলেও স্থানীয়দের মতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ক্ষতির শিকার হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। টাকার অঙ্কে যা ৫০ কোটির বেশি।

কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। ফেনী-বিলোনিয়া বন্দর সড়কের চিত্র যেন সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। কারও পুকুরের লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বানের জলে। আর জাল ফেলে সেই মাছই জীবিকার যোগান দিচ্ছে অনেকের।

গেলো দু'দিনের বন্যায় ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার ১ হাজার ৫০০ এরর বেশি পুকুরের মাছ বানের জলে ভেসে গেছে। মৎস্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্টরা বলছে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে ৫ কোটি টাকা।

একজন মাছচাষি বলেন, 'আমার পুকুরে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার মাছ ছিল। পানি বেড়ে গিয়ে মাছগুলো সব বের হয়ে গেছে।'

এদিকে হঠাৎ বন্যায় রোপা আমনের বীজতলা, আমন আবাদ, আউশ ধান ও শরৎকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো ডুবে আছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল।

ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একরামুল উদ্দিন বলেন, 'কৃষকরা আমন আবাদ শুরু করেছিল অলরেডি। কিন্তু, ভারি বর্ষণের ফলে কৃষকদের ফলে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।'

এদিকে কৃষি-মৎস্যসহ সার্বিক ক্ষতি এড়াতে ও বন্যা প্রতিরোধে নানা পরিকল্পনার কথা জানায় জেলা প্রশাসন।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, 'বন্যা প্রতিহত করার জন্য এই বাঁধগুলোতে কীভাবে বাঁধ নির্মাণ করলে কাজ হবে সেভাবে আমরা পরামর্শ দিয়েছি।'

শনিবার (৩ আগস্ট) মুহুরি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দেয়। এর আগে জুলাইয়ের শুরুতে একই বাঁধের ১২ স্থানে ভাঙন দেখা দিলে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

tech