আজ (৪ আগস্ট) বিকালে গণভবনে নিরাপত্তা বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের টানেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে। কাউকে দমানো বা থামানোর জন্য নয়। সহিংসতাকারীরা মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সংঘাত-সহিংসতা তৈরি করা হয়েছে। এতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য আমরা সাময়িকভাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছি।’
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মাধ্যম শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে চাই।’ সন্ত্রাসীদের দমনে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইলের ফোরজি ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু করা হলেও ইন্টারনেটের গতি কম ছিল। আর ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইলের ফোরজি ইন্টারনেট চালু করা হয়।
কিন্তু মেটা মালিকানাধীন ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। এরপর ৩১ জুলাই দুপুর ২টার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়।