দেশে এখন
0

চট্টগ্রাম-চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ, কমেনি দাম

বৈরি আবহাওয়ায় সাগরে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। সমুদ্র থেকে ইলিশ নিয়ে উপকূলে ফিরছেন জেলেরা। ভোর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরসহ উপকূলের মাছঘাটগুলো। পাইকারদের হাঁকডাকে জমে ওঠে কেনাবেচা। তবে, সরবরাহ বাড়লেও এখন সাধারণের নাগালের বাইরে দাম।

রুপালি ইলিশের টানে শুক্রবার ভোর থেকে জমজমাট হয়ে উঠে নদী ও সাগর তীরবর্তী মাছঘাটগুলো। হাঁকডাকে জমে ওঠে বেচাকেনা। চলে পাইকার ও ব্যবসায়ীদের দরকষাকষি।

ইলিশের অন্যতম পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট। ছুটির দিনে সরবরাহ হয় প্রায় ৪০০ মণ ইলিশ। বেশিরভাগই নোয়াখালীর হাতিয়াসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। সরবরাহ বাড়লেও চাহিদার তুলনায় বেশ কম। এ কারণে বেড়েছে দাম।

গেলো সপ্তাহের তুলনায় বড় আকারের ইলিশ কেজিতে বেড়েছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে সাড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া, ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে। নদীর ইলিশের তুলনায় সাগরের ইলিশ দাম কিছুটা কম। তবুও সাধারণের নাগালের বাইরে ইলিশ।

একজন ক্রেতা বলেন, 'এখন যে দাম তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ের ক্ষমতার মধ্যে আসে না। তবে, বাজারে যে পরিমাণ মাছ থাকা দরকার সে পরিমাণে না থাকার কারণে দামটা বেশি।'

রুপলি ইলিশ নিয়ে সরগরম চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট। আড়তের সামনে ক্রেতা-বিক্রেতার বড় জটলা। নিলামের হাঁকডাকে চলছে বেচাকেনা। বড় আকারের প্রতি মণ ইলিশের বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ প্রতিকেজির দর দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ টাকা। কিছুটা দর কমে মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আশা করি সামনে ভালো মাছ পাবো। তারপর দাম কমে যাবে হয়তো। সাগরে কিছু সিগন্যাল চলছে, এগুলো কেটে গেলে মাছ পাওয়া যাবে।'

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গেলো ২৩ জুলাই সাগরে নামেন উপকূলের জেলেরা। প্রায় ১০ দিন পর শিকার করা মাছ নিয়ে তীরে ফিরছেন অনেকে। বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে শিকার করা মাছ নিয়ে দ্রুত কূলে ফিরতে শুরু করেছেন তারা। এতে লোকসানের শঙ্কা বোট মালিকদের।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর