আইনমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সকালে যা বলেছেন তা স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন আইনে হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'যে সহিংসতা হয়েছে তা জামাত শিবিরের জঙ্গীরাই করেছে। তাদের নিষিদ্ধ করা হলে দেশের রাজনীতির জন্য ভাল হবে।'
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো দল নির্বাহী আদেশেই নিষিদ্ধ হয়। কোন আইনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যায়, এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধ হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
এর আগে গতকাল রাতে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানান নেতারা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দেশের চলমান সংকট ও অস্থিতিশীলতা নিয়েও বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘১৪ দল মনে করে বিএনপি, জামাত-শিবির, ছাত্রদল ও তাদের দোসর জঙ্গিগোষ্ঠী দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতে লিপ্ত হয়েছে। তারা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করা ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে এই অপশক্তিতে নির্মূল করা প্রয়োজন। ১৪ দলের এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জামাত-শিবিরগোষ্ঠীর অপশক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’