সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ করে গেলো ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এরপরই উচ্চ আদালতের রায় বাতিল চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। একইসঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন এক পর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ৬ জন শিক্ষার্থী নিহত হন।
এসব পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে সরকার হাইকোর্টের বিচারপতি দিলীরুজ্জামানকে দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে।
আজ (বুধবার, ২৪ জুলাই) সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে বৈঠকে বসে কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংস্কার বিভাগের সচিবসহ সাতজন বৈঠকে অংশ নেন। এদিন সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলে কমিশনের কর্মপন্থা নির্ধারণের বৈঠক।
পরে বিচারপতি দিলীরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, কারফিউ থাকার কারণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি। তবে, অতিদ্রুত সহিংসতা ঘটেছে এসব এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান তিনি।
বিচারপতি দিলীরুজ্জামান বলেন, 'গত ১৮ জুলাই আমাকে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। ১৬ তারিখে ৬ জন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ এবং ৫ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত সংগঠিত অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য ও প্রমাণাদি ৬ অগাস্টের মধ্যে সরাসরি ডাকযোগে ও ইমেইলে প্রদান করতে পারবেন।'
তদন্ত কমিশন দাবি করে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সার্বিক দিক উদঘাটনে সক্ষম হবেন তারা।