দেশে এখন
0

কোটা আন্দোলন: ঢাকা, রংপুর ও চট্টগ্রামে সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আজ (মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই) সারাদেশে সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা, রংপুরে একজন করে ও চট্টগ্রামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন শিক্ষার্থী, একজন পথচারী এবং বাকি একজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকাল দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আজ দুপুর ২টায় শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষে নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ, সে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচে অধ্যায়নরত ছিল। তার সহপাঠীরা জানিয়েছে, আবু সাঈদ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।

তার বাড়ি রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কারের অন্যতম সমন্বক ছিলেন। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুস আলী বলেন, ‘এক শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এছাড়া আহত অবস্থায় আরও ১৫ জন হাসপাতালে এসেছেন।’

এদিকে রাজধানীর ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫) নিহত হয়েছেন। বিকেলে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

তিনি বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার কানের নিচে ও মুখের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই পথচারী তার নাম পরিচয় বলতে পারেননি।’

এছাড়া কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে চট্টগ্রাম কলেজের ওয়াসিফ আকরাম নামের আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একই সংঘর্ষে মোহাম্মদ ফারুক নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক পরিচয়ে সে পথচারী ছিল বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানিয়েছেন, মৃত দু’জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর