ফেলোশিপ পুরস্কার প্রদান শেষে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার গবেষণায় সবসময়েই আন্তরিক।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। দেশের প্রতিটা নাগরিককে স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে, তা যে দলেরই হোক না কেন।’
মাদারীপুরের মিয়ার চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উচ্চতর শিক্ষার জন্য যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনিসহ ৪৮ জন শিক্ষক, চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তারাও উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাবেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।
তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন- এই টাকাটা আমাদের জনগণের টাকা। তাদের অর্জিত টাকা আপনাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যয় করছে। কাজেই সেই জনগণ সেবা পায় সেদিকে আপনারদের নজর দিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কৃষি গবেষণাকে আমরা সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম, এজন্য যে আমাদের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। ৪০ লক্ষ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি তখন। এরপরে আমরা যখন বাজেট দেয় তখন ১০০ কোটি টাকার বাজেট রেখে দেই।'
এসময় বিএনপি সরকার ফেলোশিপ বন্ধ করে দেয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভবিষ্যতে ফেলোশিপ চালু রাখতে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, 'যখন ২০০১ এ আসতে পারলাম না তখন বিএনপি সরকার ফেলোশিপ বন্ধ করে দিলো। আমি এই ফেলোশিপকেও একটা ট্রাস্ট ফান্ড করে আইন করে দিয়ে যাবো। কারণ ভবিষ্যতে কেউ যেন আর বন্ধ করতে না পারে। একেকজন বিদেশ যায় সেখান গিয়ে বিপদে তা নিজে দেখেছি।'
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপে ৩৩৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।’
এসময় তিনি ফেলোশিপ প্রাপ্তদের উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।