চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ৮ জুলাই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ জুলাই তিনি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১০ জুলাই বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। একই দিন চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সঙ্গেও বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান।
গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন এই সফর নিয়ে আজ আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, আসন্ন চীন সফরে অগ্রাধিকারে পাবে দেশের উন্নয়ন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব মেনে চলতে চাই। চায়না আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। প্রধানমন্ত্রীর এটি গুরত্বপূর্ণ সফর হতে যাচ্ছে। চীন সফর নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে ভারত সফর করে এসেছেন। সেই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলাপেও আলোচনা হয়েছিল চীন সফরের বিষয়ে।’
এ সময় তিনি সৌদিতে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদির সাথে আমাদের সম্পর্ক শ্রমিক রপ্তানিতে সীমাবদ্ধ নয়। তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করছে। আরও করতে চায়। বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের আহ্বান করেছি। ৩১ লাখের বেশি প্রবাসী বাস করে। তাদের আরও কর্মী দরকার।’
তিনি বলেন, ‘গত তিন বছরে ১৭ লাখ কর্মী সৌদি গেছে। দুদেশের কিছু অসাধু শ্রমশক্তি রপ্তানি কারকের বিরুদ্ধ আমরা ব্যবস্থা নিবো। যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। ফেইক ডিমান্ড যেন প্রতিরোধ করতে পারি। সৌদিতে অনেক বাংলাদেশির কাজ নেই। অনেকে প্রতারিত হয় গিয়ে। সেজন্যই রেমিটেন্সে পিছিয়ে পড়ছে। তাই আমরা টাস্কফোর্স করবো। বাংলাদেশিদের ব্যবসার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান করেছি।’