৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ১০ শতাংশ নারীর, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের ১০, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ মিলিয়ে দেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার প্রচলন ছিল ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ওই বছরই কোটা সংস্কারের দাবিতে 'ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের' ব্যানারে সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে একপর্যায়ে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কোটা ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পরে ২০২১ সালে পরিপত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট হয়। সেই রিটের রায় হয় এই বছরের ৫ই জুন। এরপর আবার সোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা। গড়ে তোলেন 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' প্ল্যাটফর্ম।
তাদের ডাকে আজ (বুধবার, ৩ জুলাই) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এর অধিভুক্ত সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল শুরু করে নীলক্ষেত, টিএসসি, হাইকোর্ট মোড়, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ আসেন শিক্ষার্থীরা। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান নেয় সড়কে। স্লোগানে স্লোগানে শিক্ষার্থীরা জানান দেয় কোটা বাতিলের চার দফা দাবি।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'নতুন করে তোটা বহাল করায় আমাদের সাথে আবার বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা চাই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হোক। কোটামুক্ত বাংলাদেশ হোক। এ আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।'
সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি তোলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার. ৪ জুলাই) উচ্চ আদালতের শুনানিতে যেন আপামর শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পক্ষে রায় আসে। নয়তো হবে কঠোর আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শারজিস আহমেদ বলেন, 'আগামীকাল হাইকোর্ট থেকে যে শুনানি হবে সেটি ছাত্রসমাজের পক্ষে যেতে হবে। যদি আমাদের সাথে কোনো টালবাহানা করা হয়, তাহলে আমরা আবার রাজপথে নেমে আসবো।'
এর আগে, আজ সকালে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা জানান তারা।