বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার ( ২ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকালে সব ভবনের গেটে তালা দিয়ে দেন। বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। একদিকে ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ, অন্যদিকে লাইব্রেরিসহ অন্যান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত তারা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'কর্মবিরতির কারণে আমাদের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ, ক্লাসরুম বন্ধ। অনেক ব্যাচের পরিক্ষা ছিল ১ জুলাই থেকে তাও বাতিল হয়ে গিয়েছে।'
প্রশাসনিক কাজ বন্ধ করে র্যালি নিয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বলেন, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম চাপিয়ে দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের পরিপন্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ;চাকরি শেষে বৃদ্ধ বয়সে যে এককালীন টাকা পেয়ে বৃদ্ধ জীবন চালাবে সেটা বাতিল করা হয়েছে।'
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এবং কলাভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, 'অবসরের সময় আমি কোথায় আশ্রয় নিবো আমার মাথা গোজার ঠাই কোথায়?'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, 'আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। একযোগে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে।'
এছাড়া কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এরমধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দাবি চলমান আন্দোলনে শিক্ষকদের দুই সংগঠন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় দেখা দেয় উত্তেজনায় ৪ জন আহতের দাবি।