ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার থেকেই উত্তপ্ত খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ ও উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে অনড় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় দীর্ঘসময় ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে উপাচার্যকে। বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ শ্রেণি কার্যক্রম।
বুধবার সকাল থেকে ফের ক্যাম্পাসে সমবেত হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে পাহারা বসিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এ সময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'আমাদের ছয়টা দাবি আছে, যেটা না মানলে আমরা কোনোদিন ক্লাস করবো না। আমাদের ক্যাম্পাসের সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।'
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বিবৃতি দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ফারুক হোসেন বলেন, 'আমাদের ছাত্রদের গায়ে হাত দেয়া হয়েছে, অস্ত্র চালানো হয়েছে। টা কোনো পরিস্থিতিতেই মরা সমর্থন করতে পারি না।'
তবে বিবৃতি স্পষ্ট নয় দাবি করে তা প্রত্যাখান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে আমাদের প্রশাসন। কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।'
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল। ক্যাম্পাসে কৌশলে ছাত্র রাজনীতি চালু থাকার দাবি করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফনান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া বলেন, 'মূল কথা হচ্ছে হামলার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। আমরা অতিশিগগিরই তদন্ত করে যারা এই হামলার সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ক্যাম্পাসে রাজনীতি ফেরানোর প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্রদল হামলা চালালে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।